খুলনায় বিদেশী পিস্তল, গুলি ও ককটেল সাদৃশ্য হাতবোমা সহ দুই সন্ত্রাসীকে গ্রেপ্তার করেছে নগর গোয়েন্দা পুলিশ । বৃহস্পতিবার দুপুরে নগরীর নিরালা আবাসিক এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
তারা হলেন, যশোরের কোতয়ালী থানার নাজির শংকরপুর এলাকার মোঃ রেজাউল ইসলামের ছেলে মোঃ শান্ত ইসলাম এবং বেজপাড়া এলাকার মৃত মুরাদ হোসেন মুন্নার ছেলে মোঃ আলিমুল হোসেন।
বৃহস্পতিবার রাতে কেএমপির সদর দপ্তরে প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানিয়েছেন খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু।
তিনি বলেন, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের একটি চৌকস আভিযানিক টীম আজ দুপুরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে নগরীর খুলনা সদর থানাধীন নিরালা আবাসিক এলাকার ২৯ নং রোডের ৩২ নং বাড়ির ৫ম তলার একটি ফ্ল্যাট থেকে সন্ত্রাসী মোঃ শান্ত ইসলাম এবং মোঃ আলিমুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে। এসময় তাদের কাছ থেকে একটি বিদেশী পিস্তল, ৪ রাউন্ড গুলি, একটি ম্যাগজিন, একটি শটগানের কার্তুজ এবং প্লাস্টিকের তৈরি লাল সাদা রংয়ের হটপটের ভিতরে রক্ষিত লাল-কালো কসটেপ দ্বারা মোড়ানো ২টি ককটেল সদৃশ হাতবোমা উদ্ধার করা হয়। এ বিষয়ে তাদের বিরুদ্ধে খুলনা সদর থানায় বিস্ফোরক উপাদানাবলী আইন তৎসহ অস্ত্র আইনে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
শেখ মনিরুজ্জামান মিঠু বলেন, উদ্ধার করা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে সাম্প্রতিক সময়ে কোন অপরাধজনক ঘটনা সংঘটিত করেছে কিনা? তাদেরকে নিবিড়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এসব অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র ও গুলির উৎস, উদ্ধারকৃত অস্ত্র কোথায় কোথায় সন্ত্রাসী কর্মকান্ডে ব্যবহৃত হয়েছে, কোথাও ব্যবহারের পরিকল্পনা ছিল কিনা, আগ্নেয়াস্ত্র ক্রয়-বিক্রয়ের সাথে কারা জড়িত, উদ্ধারকৃত বোমা দিয়ে কোথায় হামলার পরিকল্পনা ছিল? বোমা তৈরির উপকরণ কার কাছ থেকে সংগ্রহ করেছে এর মূল রহস্য উদঘাটনপূর্বক জড়িত অন্যান্য সহযোগী সন্ত্রাসীদেরকে গ্রেপ্তারের এবং আরো অবৈধ অস্ত্র-গোলাবারুদ ও বিস্ফোরক উদ্ধারের জন্য অভিযান চলমান আছে।
তিনি আরও বলেন, প্রাথমিক অনুসন্ধানে সন্ত্রাসী শান্ত’র বিরুদ্ধে যশোর জেলার কোতয়ালী থানায় একটি হত্যা ও মাদকের
মামলাসহ মোট ৪ টি মামলা এবং অপর সন্ত্রাসী আলিমুলের বিরুদ্ধে একটি মামলার তথ্য পাওয়া গেছে। তাদের বিরুদ্ধে
আরও মামলা আছে কিনা যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে।